হত্যা কারণে বা হত্যাকারীদের পরিচয় বা শত্রুর কারণে, তা পরিবারের সদস্যেরা বুঝতে পারেননি। তবে, হত্যাকাণ্ডের পর, হত্যাকারীদের ওই ভবনসংলগ্ন গলি ধরে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, এই সংবাদের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ দ্বারা সংগ্রহিত হয়েছে।"**নরসিংদীতে টিউটর হত্যাকাণ্ড, উদ্ধারের পর ঢাকায় মৃত্যু**
নরসিংদীর সাটিরপাড়ায় টিউটর মো. কামরুজ্জামানকে (৪০) গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজীপুরের নিজ বাড়ির ছাদে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুজ্জামান সদর উপজেলার হাজীপুরের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ১০ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে কয়েকটি টিউশনি শুরু করেন। তার আট বছর বয়সী এক মেয়ে ও তিন বছর বয়সী এক ছেলে আছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্বৃত্তরা কামরুজ্জামানের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে। পরে তিনি ছাদ থেকে নেমে আসেন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল সিয়াম বলেন, ‘কামরুজ্জামানকে যখন আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন তার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তার গলায় এমনভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে, এতে ভোকাল কর্ড ও খাদ্যনালি কেটে গিয়েছিল। রক্তক্ষরণ থামানো যাচ্ছিল না। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিয়ে দ্রুত তাঁকে ঢাকায় পাঠাই।’
নিহতের ভাই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কামরুজ্জামানকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে, এটাই কোনোভাবে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ওই বাড়ির ছাদে গিয়ে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর যে গলি ধরে হত্যাকারীরা পালিয়েছে, সেখানকার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
**ঘটনার বিস্তারিত
বুধবার রাত ৮টার দিকে কামরুজ্জামান তার বাড়ির ছাদে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তিনি ছাদ থেকে নেমে আসেন। এ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কামরুজ্জামান সৌদি আরব থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন। তিনি কয়েকটি টিউশনি করছিলেন। তার কোনো শত্রু ছিল না। তাই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা দরকার।’
নরসিংদী মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’