বিএনপির অবরোধের সময় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন নেতা-কর্মী গ্রেফতার
বিএনপির অবরোধের সময় রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইউসুফ মিয়া (৩২), সদস্যসচিব মো. জহির (৩৮) ও কর্মী মো. মনিরুল ইসলাম (৪০)।
তিনি জানান, বিএনপির অবরোধের সময় ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের আজ সোমবার আদালতে তোলা হবে বলে জানান ডিসি ফারুক হোসেন।
বিএনপির অবরোধের সময় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাতজন গ্রেফতার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির অবরোধের সময় রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, ৫ নভেম্বর ডেমরার মাতুয়াইলে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে ও একটি কোম্পানি স্টাফ বাসে আগুন দেওয়া হয়। ১১ অক্টোবর সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানায় দুটি মামলা হয়। সেই মামলার তদন্তে নেমে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন:
ঢাকার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইউসুফ মিয়া (৩২)
৪৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. তারেক (৪৫)
সূত্রাপুর থানা বিএনপির সদস্য নুরুল আফসার মাসুদ (৪৭) ও সদস্য হাসান খান
অকটেনসহ মাহফুজ (২৪)
গানপাউডার সংগ্রহের সময় বিল্লাল (৩২)
লিমন (২৮)
বাসে জ্বালানি তেল ঢেলে আগুন দেওয়ার আগমুহূর্তে জাকির (১৫)
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ইউসুফ মিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মুঠোফোন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে বাসে আগুন দেওয়ার ভিডিও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর মুঠোফোনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের দুটি অ্যাপ পাওয়া গেছে। সেখানে আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপির কর্মী। তারা অবরোধের সময় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।